Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

“বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব”

কফিল উদ্দিন চৌধুরী

কফিলউদ্দিন চৌধুরী ১৮৯৮ সালে মজিদপুর দয়হাটা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯১৬ সালে হাঁসাড়া কালী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এলাকার প্রথম মুসলমান এন্ট্রাস পাস করেন। তিনি হাঁসাড়া কে,কে উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় মুসলিম ছাত্র যিনি এন্ট্রাস পাস করেন। কলকাতা থেকে বিএ এবং বিএল ডিগ্রী অর্জন করেন। প্রথমে মুন্সীগঞ্জ পরে ঢাকা জজ কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন। শেরে বাংলার নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক প্রজা পার্টির সদস্য হিসেবে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের ব্যনারে এলাকায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যুক্তফ্রন্ট সরকারের পূর্ব পাকিস্তানের যোগাযোগ আইন ও বন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও লৌহজং নির্বাচনী এলাকার জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কিছুদিন গ্রামের বাড়ীতে পরে ভারতে অবস্থান করেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে আসার পর ৭৪ বৎসর বয়সে ১৯৭২ সালের ১২ ই মে মৃত্যুবরণ করেন। তার ৯ সন্তান ৪ পুত্র ও ৫ কন্যা। সন্তানদের মধ্যে তিন পুত্র ও দুই কন্যা প্রকৌশলী এবং শিল্পপতি ২য় পুত্র প্রথিতযশা চিকিৎসক ও রাজনীতিবীদ। নিজ গ্রামে ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন কে,সি,আই।

 

অধ্যাপক এ,কি,এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

অধ্যাপক এ,কি,এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী জন্ম কুমিল্লা শহরের মন্সীবাড়ী / দারোগা বাড়ী নামে পরিচিত নানার বাড়ীতে ১৯৩১ সালে। ১৯৪৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পূর্ব পাকিস্তানের ২য় স্ট্যান্ড করেন। ঢাকা থেকে এম, বি, বি, এস এডিন ও গ্লাসগো থেকে এম,আর,সিপি এবং ওয়েলস থেকে টিডিডি ডিগ্রী অর্জন করে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপনা করেন। দেশের প্রাথিতযশা একজন চিকিৎসক হিসেবে তার খ্যাতি দেশের সর্বত্র। ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জিয়া প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী  দলের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচীবের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি শ্রীনগর , সিরাজদিখান নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৭৯, ১৯৯৭ও ২০০১ সালে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।স্বাস্থ শিক্ষা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব ও সংসদ উপনেতা  বিরোধী দলীয় সংসদ উপনেতা , উপপ্রধান মন্ত্রী এবং দেশের সাত মাস রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি দলের চেয়ারম্যান। তিন সন্তানের জনক ডা: বি চৌধুরীর একমাত্র পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরী। বড় মেয়ে মুনা চৌধুরী এবং ছোট মেয়ে ডা: সায়লা চৌধুরী এম,আর,সিপি পিতার সঙ্গে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত, স্ত্রী হাসিনা ওয়ার্দা চেীধুরী মায়া প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে কে,সি মেমোরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান।

 

এ,কে,এম শামসুদ্দোহা চৌধুরী

সাবেক মন্ত্রী কফিলউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আমেরিকার ইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল বিজ্ঞানে এমএস ডিগ্রী অর্জন করে প্রথমে কিছুদিন ঢাকা বুয়েটে অধ্যাপনা করেন। পরবর্তী সময়ে ব্যবসায় মনোনিবেশ করে বেতকায় দেশের বৃহত্তম ব্রডলুম জুট মিল ব্রড বারলাপ ইন্ডট্রিজ স্থাপনের পাশাপাশি আলু ও মাছ সংরক্ষণের জন্য বেতকায় একটি এবং চট্টোগ্রামে  কালুর ঘাটে একটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মান করেন।

 

এ,এম সাদরুল উলা

সাবেক মন্ত্রী কফিলউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র বড় ভাইয়ের ন্যায় আমেরিকার ইল বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম,এস ডিগ্রী অর্জন করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত জুট মিলস, কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসা দেখভাল করেন।

 

 

মাহী বি চৌধুরী

সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর এক মাত্র পুত্র সন্তান মাহী বি চৌধুরী। জন্ম ১৯৭০সাল। ১৯৮৬সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাব স্কুল হতে এস.এস.সি. পাস করে পরবর্তীতে আমেরিকা থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী অর্জন করেন । ২০০২ সালে পিতার শূন্য পদে শ্রীনগর সিরাজদিখান নির্বাচনী এলাকায় উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলে পিতার প্রতিষ্ঠিত বিকল্পধারা বাংলাদেশের ব্যানারে উপনির্বাচনে বিএপি মনোনীত প্রার্থী কে প্রায় ১০০০০০ (এক লক্ষ) ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২ সন্তানের জনক মাহী বি চৌধুরী নিজে এবং তার স্ত্রী আশফা চৌধুরী লোপা উভয়ে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

 

ড. আব্দুল মমিন চৌধুরী

মজিদপুর দয়হাটা গ্রামের সন্তান ড. আ: মমিন চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান, কলা অনুষদের ডীন, শিক্ষক সমিতির বার বার নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তার পিতা ছিলেন সরকারী হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এবং শ্বশুর ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্টের প্রাধান বিচারপতি বলিয়াদি জমিদার বি,এ সিদ্দিক। তাহার ভাই ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী এশিয়া মহাদেশের একজন প্রখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক ছিলেন।